এবার ২৩ বস্তা টাকা মিলল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে
৪ দিন আগে মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের
পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী
কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে
জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও
মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে
বিশ্বাস যে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের
মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে আটটি
লোহার দানবাক্স রয়েছে সেই দানবাক্সগুলো
খোলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছে। প্রায়
২০০ জনের একটি দল এই দান বাক্সর টাকা গণনায় অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল
সোয়া ৮টায় দানবাক্স গুলো খুলে বস্তায় ভরা হয়।
এই বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম
আজাদ।
টাকা গণনা কাজ তদারকি
করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এজিএম) মো. রফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
পাশাপাশি মসজিদ
কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন টাকা
গণনার কাজে।
সাধারণত প্রতি তিন মাস
পর পর খোলা হয় পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো। তবে এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর খোলা হলো।
এর আগে দানবাক্স খোলা
হয়েছিল ৬ মে । তখনকার রেকর্ড ১৯টি বস্তায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং
বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছিল।
চলতি বছরের প্রথম ৭
জানুয়ারি দানবাক্স খোলায় হয়। ওই সময় ২০টি বস্তায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা
এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছিল।
