৩ বছরের শিশুকে লাথি মেরে হ’ত্যা, সৎ মায়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড

Cumilla24

২৭ দিন আগে মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫


#

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৩ বছরের শিশু আহমেদকে লাথি মেরে হত্যার দায়ে সৎ মা কহিনুর বেগমকে (২৬) ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে কহিনুর বেগমকে।

২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে এ রায় দেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম।  

রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেন কুট্টির মেয়ে কহিনুর।  

মামলার বাদী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়চৌ গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে মিরন। বাদী মিরনের দ্বিতীয় স্ত্রী দণ্ডপ্রাপ্ত কহিনুর।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, ক্ষিপ্ত হয়ে সৎ মা কহিনুর বেগম শিশু আহমেদকে লাথি মারলে সে মারা যায়। পরে বসতঘরে মাটিতে পুঁতে রাখে শিশুর মরদেহটি। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলার সময় থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি করেন মিরন। পরিবারিক কলহের প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার। তার প্রথম সংসারের ছেলে আহমেদ। কিছুদিন পর রামগঞ্জের বাসিন্দা কহিনুরকে বিয়ে করে মিরন। শিশু আহমেদসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ জুলাই স্ত্রী-সন্তানকে রেখে তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান। ১০ আগস্ট আহমেদকে নিয়ে কহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুরে তার বাবার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ২৭ আগস্ট কহিনুর তার স্বামীর বাসায় আসেন।  

এরপর কহিনুর তার স্বামী মিরনকে জানায়, আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একইদিন ঢাকা থেকে এসে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে পাননি তিনি। এতে ২৮ আগস্ট হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পরদিন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বাসায় গিয়ে কহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করে কহিনুর।  

কহিনুর পুলিশকে জানান, ২৬ আগস্ট রাত ২টায় শিশু আহমদের পেটে লাথি দিলে সে মারা যায়। পরে দা দিয়ে খাটের নিচে গর্ত করে তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে সে।

তার স্বীকারোক্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৯ আগস্ট বিকেলে দরবেশপুর এসে কহিনুরের বাবার বাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচে পুঁতে রাখা আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন মিরন বাদী হয়ে কহিনুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  

একই বছর ৩০ অক্টোবর রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস আদালতে আসামি কহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন আদালত।


global fast coder
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  
Link copied