কুমিল্লার বরুড়ায় শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর দেওয়া হয় মাটিচাপা
১৩ দিন আগে মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫

কুমিল্লার বরুড়ায় শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর শিশু ইব্রাহিম খলিলের (৭) মরদেহ ঢেকে রাখা হয় কচুপাতা দিয়ে। দ্বিতীয় দিন মরদেহটি মাটিচাপা দেওয়া হয় নির্জন বাড়িতে।
বরুড়া পৌরসভার পাঠানপাড়া এলাকার মাসুদ রানার ছেলে নিহত শিশু ইব্রাহিম।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিমের চাচাতো ভাই আলআমিন (২৫) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃত আলআমিন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার চাচা মাসুদ রানা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। সেখানে তাকে চাকরি দেন। কিন্তু পছন্দ না হওয়ায় সে কাজে অপারগতা প্রকাশ করেন। এনিয়ে চাচার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। তাকে থাপ্পড় মারেন তার চাচা। সে দেশে এসে চাচাতো ভাই ইব্রাহিম খলিলকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। বাড়ির বাইরে খেলতে এলে ইব্রাহিমকে খাজা (তেলেভাজা খাবার) খাইয়ে অটোরিকশাযোগে ৫ কিলোমিটার দূরে এগারো গ্রাম নিয়ে আসে। গ্রামের মাঠের একটি নির্জন বাড়ির পাশে নিয়ে গর্তের পানিতে চুবিয়ে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর ওই বাড়িতে মরদেহ কচুপাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরদিন গিয়ে মাটি খুঁড়ে মরদেহ চাপা দেয়।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্র জানায়, নিখোঁজের দুইদিন পর ৬ সেপ্টেম্বর ইব্রাহিমের মরদেহ ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর ইব্রাহিমের চাচাতো ভাই মো. রিপনের ছেলে আল আমিন পলাতক ছিল। ইব্রাহিমকে অপহরণের বিষয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি দিতেন। আল আমিনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার বাঁশতলা এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করে।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানায়, ঘটনায় অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
