ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতীয় পতাকার রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণের শেষ বিদায়

Cumilla24

২৯ দিন আগে মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫


#

জাতীয় পতাকার রূপকার কুমিল্লার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ন দাস-কে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষ।

শনিবার বিকেলে কুমিল্লা মহানগর টাউন হল মাঠে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য নাজমুল হাসান পাখী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ছামছুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি এডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কামরান হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: আতিক উল্লাহ খোকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ নুরুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন ভৌমিক।


এই সময় ফুল দিয়ে আরও শ্রদ্ধা জানান, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ কুমিল্লা মহানগর, কৃষক লীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুমিল্লা জেলা কমান্ড, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ, কুমিল্লা জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয় সহ অন্যান্যরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা  আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, উনি মহান মুক্তিযোদ্ধার সংগঠন ও আমার নেতা। এই জাতি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারিয়েছে। শিবুদার মাঝে রাজনীতি নিয়ে কোনো ক্লান্তি ছিলেন না। উনি আমাদেরকে হাতে পোস্টার বানিয়ে দিতেন। আমরা পুরো শহর সেই পোস্টার বিলিয়ে দিতাম। এমন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে কুমিল্লার মানুষ হারিয়েছে। যতদিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে, ততদিন এই জাতি উনাকে স্মরণ করবে।


শিব নারায়ণ দাসের সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতশ্রী চৌধুরী বলেন, আমি ৫৫ বছর ধরে তার সঙ্গে ছিলাম। সেই যুদ্ধের সময়কাল থেকে। এই কুমিল্লা শিব নারায়ণ দাসের প্রাণের কুমিল্লা। শেষ সময় পর্যন্ত কুমিল্লাবাসী শিব নারায়ণ দাসের পাশে ছিলেন। আমরা কৃতজ্ঞ।

শিব নারায়ণ দাসের ছেলে আদিত্য অর্নব বলেন, আজকে আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে যারা এখানে এসেছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার বাবা সবসময় চাইতেন, দুঃখ ও দূর্দশামুক্ত হয়ে এই দেশ যাতে সামনে এগিয়ে যাই। আমার বাবা দেশের জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতেন। এই কারণেই, আমার বাবা মৃত্যুর পূর্বেই ওনার শরীর মেডিকেল শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। 

global fast coder
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  
Link copied