চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

Cumilla24

২৩ দিন আগে সোমবার, মে ১৯, ২০২৫


#

সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে মদপানের পর ভাঙচুর মারধরের ঘটনায় ক্লাবের পরিচালক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। 

আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ পরোয়ানা জারি করেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জানান, রোববার মামলায় চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। আমরা আসামিপক্ষে সময় আবেদন করি। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে তার নামে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

এর আগে ২০২২ সালের জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে মামলা করেন নাসির। মামলায় পরীমনি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করা হয়। আদালত পিবিআকে ঘটনা বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। 

মামলার আরজিতে বলা হয়, পরীমনি তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাত পান।   পরীমনি তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর হত্যার হুমকি দিয়েছেন ভাঙচুর করেছেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের নামে ধর্ষণচেষ্টা হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

গত বছর মামলায় পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরীমনি ছাড়া মামলায় তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

এরপর গত বছর ১৮ এপ্রিল মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি শেষে তাদের দুজনকে হাজির হতে সমন জারি করেন।

এরপর গত বছর ২৫ জুন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

global fast coder
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  
Link copied