ঈদের খাবারে সতর্কতা অবলম্বন করুন
২৩ দিন আগে সোমবার, মে ১৯, ২০২৫
ঈদে গরু, খাসির রান্নায় তেল-চর্বির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদ্রোগে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য গরু-খাসির ফ্যাট অনেক ক্ষতি করে। রান্নার পরে ওপরে যে তেল টা ভাসতে থাকে সেটা ফেলে দিয়ে শুধু মাংসটুকু খেতে হবে।
কলিজা, মগজ এগুলো যেমন সুস্বাদু তেমনি কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ। তরুণদের জন্য সমস্যা না হলেও বয়স্করা মগজ, কলিজা, হাড়ের মজ্জা এসব পরিহার করুন।
ঈদে অনেক বাসাতেই বিভিন্ন রকম কাবাব তৈরি করা হবে, কাবাবের একটা সুবিধা হচ্ছে ঝলসানোর কারণে রান্না মাংসের থেকে কাবাবে চর্বির পরিমাণ কমে যায়। তাই এক আধটু কাবাব খেতে পারেন। খেয়াল রাখবেন কাবাবের মাংস যেন আধাসিদ্ধ না থাকে, না হলে ফিতা কৃমির হওয়ার ভয় থেকে যায়।
ঈদের সময় খাবারে সবজির কোনো স্থান থাকবে না তাই সালাদের সাথে যোগ করতে পারেন অতিরিক্ত সবজি। খাবার পরে কোল্ড ড্রিঙ্কসের বদলে দই, বোরহানি, লাবাং, মাঠা ইত্যাদি পানীয় নিয়ে আসুন।
ঈদের সময়ে বদহজম আর কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণ সমস্যা। বদহজম হলে অ্যান্টাসিড জাতীয় ট্যাবলেট খেতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ঘরে রাখুন ইসবগুলের ভুসি, প্রয়োজনে মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রচুর পানি পান করুন। কয়েক প্যাকেট ওরস্যালাইন হাতের কাছে রাখতে ভুলবেন না। অনেকের গরুর মাংসে অ্যালার্জি আছে, ঈদের সময় অ্যালার্জির ওষুধ সাথে রাখুন।
